মর্যাদা ও ভদ্রতা

১.
মর্যাদা সব সময়ই হায়ারার্কিক্যাল।

উঁচু থেকে নিচুতে কমতে থাকে।

সাধারণ মানুষে আইসা মর্যাদার আর্জি অবলুপ্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয় নাই।

কারণ আরো নিচে ছোটলোকরা আছে।

ওইখানে মর্যাদা আর খেলা করে না। ছোটলোকদের মর্যাদার দাবিও নাই। মর্যাদা থাকলে আবার ছোটলোক হয় নাকি!

অর্থাৎ ছোটলোকরা ওইভাবে সাধারণ মানুষও না।

২.
যেইখানে মর্যাদার বাক্স ‘উচ্চশ্রেণী’র মর্যাদা নস্যাৎ করার সামাজিক ও ভাষাগত রাজনীতিতে আমরা সক্রিয় সেইখানে সাধারণ মানুষের জন্যে মর্যাদা চাওয়ার একটাই অর্থ—স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেছি আমরা।

সাধারণ মানুষের মধ্যে জমিদারি চৈতন্যের বিস্তার ঘটাইতেছি।

পারস্পরিক মর্যাদাবোধ বইলা কিছু হয় না। মর্যাদা সব সময় উপরের দিকে ধায়। পারস্পরিক হয় ভদ্রতাবোধ।

ভদ্রতাবোধকে মর্যাদাবোধ বলা চলে না।

মর্যাদার বিকল্প হিসাবে সমাজে চালু আছে অতি ভদ্রতা। কুৎসিত ভাবে আছে।

অতি ভদ্রতা হইল মর্যাদার কঙ্কাল। ছোটলোকের স্মৃতিতে শায়িত দাস্য জনিত মর্যাদাবোধ অতি-ভদ্রতায় রূপান্তরিত হয়।

জমিদারের অভাবে ভদ্রলোকরেই মর্যাদা জ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয় অন্য ভদ্রলোক।

ছোটলোকরে অপমান না করবার অর্থ ‘মর্যাদা দান’ নয়।

২৭/১০/২০১৬

Leave a Reply