লেখকের স্বাধীনতা

যারা টাকার বিনিময়ে অন্যের পক্ষে কলম ধরেন বা কারো বিরুদ্ধে লেখেন বা বলেন তাদেরকে আমি আদৌ সন্ত্রাসী বলব না। তারা জাস্ট অ্যাডভোকেট। বড়জোর বলতে পারেন ভাড়াখাটা লেখক।

সে তো সকল চাকরিজীবীই ভাড়াখাটা।

আদালত চত্বরে দেখবেন অনেক এমন উকিল বিবিধ ব্যবসায়ীর পক্ষে লড়তেছেন।

তাদের কি আমরা সন্ত্রাসী বলি? বলি না। কারণ, পয়সার বিনিময়ে অন্যের জন্যে লড়া অবৈধ বা অসম্মানজনক নয়।

কলমবাজি করার মাধ্যমে এইসব ভাড়াখাটা লেখকরা অন্য ভাড়াখাটা বা মুক্ত লেখকদের কলম ধরার সুযোগ রদ কইরা দিতেছেন না।

টাকা হউক, আত্মীয়তা হউক, দেখতে ভালো হউক যে কোনো কারণে বা অকারণে পক্ষপাত করার সুযোগ মানুষকে দিতে হবে।

দালালি কোনো খারাপ পেশা বা কাজ না। মিডিয়া ব্যবসা মানুষ করেই আপন মতামত প্রতিষ্ঠার জন্য, আপনাপন লাভের জন্য। সুতরাং তাদের পক্ষের কলম তারা লেখকদের ধরাবেনই।

সে নিজেদের জোর প্রতিষ্ঠার জন্যেই হউক আর অন্যেদের বেকায়দায় ফেলানোর জন্যেই হউক।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেহেতু একের অধিক মিডিয়া থাকে সুতরাং এই নিয়া আক্ষেপের কারণ নাই।

অনেকে বলে খুব অরুচিকর এই সব। অন্যের রুচি নিয়া কথা বলা যেন খুব রুচির ব্যাপার!

২৭/৬/২০১২

 

Leave a Reply