গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা বা কেন আওয়ামী গভমেন্ট আরো গণতান্ত্রিক হইতে চাইতেছে?

আওয়ামী লীগ সরকার তো এমনিতে এমনিতেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতো। বা শিল্পসম্মত ভাবে বললে গণমাধ্যমই আওয়ামী সরকারের পুচ্ছের তলে নিয়ন্ত্রণ খাওয়ার জন্যে উপ্তা হইয়া পইড়া থাকতো।

তাইলে এইবার আওয়াজ দিয়া কেন নিয়ন্ত্রণ করতে হইতেছে?

বিকজ আওয়ামী সরকার ধমকের বা মৌখিক হুংকারের সামন্তবাদী রাজনীতি থিকা বাইর হইতে চাইতেছে।

যাই ঘটুক, কাগজেপত্রে বা একটা নিয়মের মধ্যে সারার চেষ্টা এই সরকারের বিনম্র শয়তানির লক্ষণ। এইটা অবশ্যই খারাপ। তবে নিয়মের মধ্যে খারাপ।

বলা যায় গণমাধ্যমই এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল। সরকার তোষণ আর নিজস্ব সেনসর কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়া।

২.
এইটারে আওয়ামী ক্লান্তি বা দলের প্রবলেম নিয়ন্ত্রণের পূর্বাভাস হিসাবেও দেখা যাইতে পারে।

প্রতিষ্ঠান হিসাবে আওয়ামী লীগ আভিজাত্যপূর্ণ হইতে চাইতেছে। শেখ মুজিবের মৌখিক গণতন্ত্র থিকা এইটা জিয়ার কাগজপত্রে ঢুকল বইলা। ফলে বর্তমান আওয়ামী সরকারে আর তৃণমূলের আবদার তেমন কার্যকরী থাকবে না বইলাই মনে হয়। প্রশাসন নির্ভরতাই সরকার তথা দলের ভিত্তি হইয়া উঠবে।

হইতে পারে, পাড়ার মাস্তানি করতে এই দল তথা সরকারের আর ভালো লাগেতেছে না!

৩.
গণমাধ্যমের জন্যে এই অভিশাপ কালপ্রিট গণমাধ্যমরে আরো গণতান্ত্রিক ও পিপলমুখী করতেও পারে। তবে আওয়ামী লীগ কালো হইলেও যে একটা কানুনের মধ্যে আসতে শুরু করলো তা এই দলরে বিএনপির ছায়ায় নিজেরে জড়াইতেও উৎসুক করবে। এখন আওয়ামী লীগ ধর্মাশ্রয়ী দলগুলারে নিয়া চতুর রাজনীতি শুরু করলে ষোলো কলা পূর্ণ হয়। তবে, কথা হইতেছে, দেশে দুইটা বিএনপি দিয়া আমরা কী করবাম!

গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের এই ঘোষণায় আমি যারপরনাই আনন্দিত। সরকার নিজেই গণমাধ্যমরে সরকার থিকা আলাদা কইরা দিল শেষপর্যন্ত। আহারে সোনারা!

৫/৮/২০১৪

Flag Counter

Leave a Reply