সভ্যতা কেন পিতৃতান্ত্রিক?

সমাজ মানুষের জন্ম পরিচয়ের শুদ্ধতা বিষয়ে শিওর হইতে চায়।

যে কারণে দেখা যায় যারা অত সমাজ-টমাজ মানেন না তারাও শিশু জন্মদান ও জন্ম লওয়া শিশুমাত্রকেই পবিত্র ঠাওরান।

মানে পবিত্রতার একটা চাহিদা আছে সমাজ ও সমাজ অপন্থী উভয়দেরই—শিশুজন্মের ব্যাপারে।

শিশুজন্মে জন্ম পরিচয়ের নিশ্চিতিই পবিত্রতা। অবৈধ জন্ম অপবিত্র জন্ম হিসাবে জারি আছে। এমন সমাজ-দুর্ভাগাদের জারজ ডাকা হয়। রেডিক্যালরা জারজ অভিধায় বিশ্বাস করেন না। কিন্তু সমাজ তা করে।

এইটা কোনো এক্সিডেন্ট না যে সভ্যতা পিতৃতান্ত্রিক। সভ্যতার পিতৃতান্ত্রিকই হওয়ার কথা ছিল। এবং এইটা পিতৃতান্ত্রিকই থাকবে।

শিশুদের মায়ের পেটে জন্মগ্রহণের কারণেই সভ্যতা পিতৃতান্ত্রিক। বাবা-মা উভয়েই সন্তান জন্মদান করতে পারলে সভ্যতা একান্তই পিতৃতান্ত্রিক হইত না।

জন্মপ্রক্রিয়ায় পিতার অদৃশ্য বা অপ্রমাণিত অংশগ্রহণের কারণে বংশনাম বা পিতৃনাম দিয়া শিশুর সঙ্গে পিতার সম্পর্ক শুদ্ধ কইরা নিতে হয়, সমাজে।

মা যেহেতু শিশুজন্মের অবিচ্ছেদ্য বা ভিশুয়াল প্রমাণ তাই তার নাম শিশুর জন্যে অজরুরি বিষয়। যেহেতু শিশু প্রথমত এবং প্রমাণিত ভাবে মায়েরই শিশু।

আরো পড়ুন: নারীবাদ কেন খারাপ?

শিশুজন্মের বৈধতা বিপুল ভাবে বিঘ্নিত হইলে সভ্যতা সমস্যার মধ্যে পড়বে। অল্প যে জারজ শিশুদের জন্ম হয় তাতে সভ্যতা সমস্যায় পড়ে না। কিন্তু সে শিশুর জীবন উপযুক্ত সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশের অভাবে ছারখার হইতে থাকে।

আমি মনুষ্যজন্মের অধিকারাদি নিয়া আলাপ করতেছি না। সুস্থ্য ও স্বাভাবিক বিকাশ নিয়া বলতেছি। অধিকার-উন্মাদরা এইসব বিষয়ে সামাজিকতা ও স্বাস্থ্যের দিকটায় অমনোযোগী থাকেন।

৭-৮/২/২০১৬

Leave a Reply